রেলে টিকেট বিড়ম্বনা

দিনাজপুর থেকে ট্রেনে ঢাকা আসবো। ট্রেন রাত ১১টায়। ১০টার দিকে রেল স্টেশনে গিয়ে
কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করলাম,

– টিকেট আছে? (যদিও ভালো করে জানি নেই বলবে)
– নাই।
– স্টেশন ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা একটু দেখেন না?
– নাই।

আরো বেশ কয়েকবার অনুরোধ করলাম কথার পাত্তাই দিলো না। শীতের রাত ১০ ঘন্টার বিশাল জার্নি না বসে স্ট্যান্ডিং যাওয়া অসম্ভব এবং ভালো করেই জানি কোথায় গেলে টিকেট পাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,

– ভাই টিকেট আছে?
– কয়টা লাগবে?
– একটা।
– ৭৫০ টাকা। আসল দাম (৪৬৫ টাকা)
– ভাই কিছু কম রাখা যায় না?
– ৭০০ টাকা।
– ৪৬৫টাকা টিকেটের দাম এত বেশি রাখবেন আরেকটু কমান না ভাই?
– ট্রেন প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর পর আপনার সামনেই ৯০০ টাকায় বিক্রি করবো দেখবেন!
– আচ্ছা দেন।

টিকেট হাতে নিয়ে দেখলাম ক্রয় ২২ তারিখ দেওয়া। বগিতে উঠার পর আশেপাশের সবার কাছে শুনলাম সবাই ৭০০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটেছে এবং একটু আগেই। কিন্তু উনারা সবাই নাকি ৪ দিন আগ থেকেই টিকেটের জন্য স্টেশনে খোঁজ নিয়েছে এবং বলা হয়েছে টিকেট শেষ। তাহলে কথা হচ্ছে, ২২ তারিখে ক্রয়ের তারিখ হয় কিভাবে?

আমার মত বাজেট ট্রাভেলদের জন্য রেল পছন্দের পরিবহন। একইসাথে সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক। কিন্তু বাধ্য হয়ে যদি অবৈধ পথে টিকেট কিনতে হয়ে তাহলে কিভাবে হবে?

ট্রেনের এক যাত্রী বললো, আমরা সবাই যদি ১সপ্তাহ ব্ল্যাকে টিকেট না কাটি তাহলেই তাদের এই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে? আসলেই কি হবে? নাকি যাত্রীদের কোনঠাসা করার জন্য নতুন কোন পন্থা বের করা হবে।

ঢাকা, সিলেট, কুলাউড়া, আখউড়া, দিনাজপুর এইসব স্টেশনে আমি নিজে ব্ল্যাকে টিকেট ক্রয়-বিক্রয় দেখেছি। প্রায় সব বড় বড় স্টেশনেই এই দালাল চক্র সক্রিয়।

রোজ শনিবার
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আমার লেখা ই-বুক কিনতে এখানে ক্লিক করুন

Spread the love

Similar Posts