সাজেক ভ্রমণ গাইড (২০২৪) [থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, খরচ সব তথ্য]
সাজেক ভ্যালি – একইসাথে মেঘ ও পাহাড়ের মিতালী দেখার সুযোগ থাকায় ভ্রমণ প্রেমী মানুষদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে এর অবস্থান। চলুন সাজেক ভ্রমণের সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সাজেক সম্পর্কে কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক অবস্থিত। এটি মূলত একটি ইউনিয়ন। আয়তনের দিক থেকে এটি চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। খাগড়াছড়ি সদর থেকে এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। দীঘিনালা থেকে ৪৫ কিলোমিটার। বাঘাইহাট থেকে ৩৪ কিলোমিটার। সাজেকের অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খাগড়াছড়ি দিয়ে ভালো। রাঙ্গামাটি থেকে পানি পথে ট্রলার/লঞ্চে আসতে হয়।
সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় বর্ষার পর শীতের আগে শরৎ-হেমন্ত (আগস্ট-নভেম্বর)। তখন প্রচুর মেঘ পাওয়া যায়। এছাড়া সারাবছরই ভ্রমণ করা যায়।
দিঘীনালা থেকে সকাল ১০ টা এবং বিকাল ৩ টায় এসকোর্ট শুরু হয়। সাজেক থেকেও একইভাবে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৩টায় এসকোর্ট শুরু হয়। এসকোর্ট ছাড়া একা যাওয়া যায় না। মনে রাখবেন, বিকালের এসকোর্ট মিস হলে সেদিন আর যেতে পারবেন না।
না। খাগড়াছড়ি থেকে জীপ/সিএনজি/বাইক রিজার্ভ করে যেতে হবে। ২-৬ জনের গ্রুপ হলে অন্য কোন গ্রুপের সাথে মিলে জীপ রিজার্ভ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
যাওয়া যায়। তবে পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে না যাওয়াই উত্তম। বাইকে যাওয়া যায় যদি নিজের চালানোর উপর ভরসা থাকে। মনে রাখবেন, খাগড়াছড়ির পর আর কোন ফিলিং স্টেশন নেই।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ প্ল্যান
- প্ল্যান-১
- ঢাকা থেকে রাতের বাসে খাগড়াছড়ি।
- খাগড়াছড়িতে থেকে জীপ ভাড়া করে সকালের এসকোর্টে সাজেক।
- যতদিন ইচ্ছা থেকে সকালের এসকোর্টে খাগড়াছড়ি।
- খাগড়াছড়িতে সব পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের বাসে ঢাকা।
- প্ল্যান-২
- ঢাকা থেকে রাতের বাসে খাগড়াছড়ি।
- খাগড়াছড়িতে জীপ ভাড়া করে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন স্পট দেখে বিকালের এসকোর্টে সাজেক।
- যতদিন ইচ্ছা থেকে সকাল বা বিকালের এসকোর্টে খাগড়াছড়ি এসে বাসে ঢাকা।
- প্ল্যান-৩
- ঢাকা থেকে রাতের বাসে খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালা।
- দিঘীনালা থেকে জীপ ভাড়া করে সাজেক।
- যতদিন ইচ্ছা থেকে খাগড়াছড়ি আসা।
- খাগড়াছড়িতে সব পর্যটন স্পট ঘুরে রাতের বাসে ঢাকা।
সাজেকে ট্যুর প্যাকেজ বুকিং করতে ক্লিক করুন ওয়াটসএপ বাটনে
পরিবহণ ব্যবস্থা
ঢাকা হতে খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালার বাস
ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ, ইকোনো , খাদিজা, দেশ ট্রাভেলস ও অন্যান্য পরিবহনের এসি ও নন-এসি বাস খাগড়াছড়ি যায়।
এছাড়া শান্তি পরিবহন সরাসরি দিঘীনালা যায়।
ঢাকা টু সাজেক বাস ভাড়া,
- ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ৭৫০ টাকা (নন-এসি)
- ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ৮৫০ টাকা (সেন্টমার্টিন পরিবহন নন-এসি বিজনেস ক্লাস)
- ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ১২০০ টাকা (এসি ইকোনমি ক্লাস)
- ঢাকা-খাগড়াছড়িঃ ১৪০০ টাকা (সেন্টমার্টিন পরিবহন হুন্দাই এসি বিজনেস ক্লাস)
- ঢাকা-দিঘীনালাঃ ৮২০ টাকা (নন-এসি)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ঢাকা থেকে সাজেক বাস ভাড়া ৭৫০ থেকে শুরু করে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত আছে।
বি.দ্র. বিভিন্ন কারনে বাস ভাড়ায় পরিবর্তন আসতে পারে। যখন ভ্রমণে যাবেন তখন আপটুডেট তথ্য জেনে নিবেন।
বাসের সময়সূচি
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির বা দিঘীনালার বাস সকাল, বিকাল এবং রাতে বিভিন্ন সময় ছেড়ে যায় এবং ছেড়ে আসে।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার চান্দের গাড়ি/জীপ গাড়ির ভাড়ার তালিকা
স্থান সমূহ | প্রকৃত ভাড়া | মন্তব্য |
---|---|---|
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৭৫০০ টাকা | দিনে দিনে আসা-যাওয়া |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৯৩০০ টাকা | ১ রাত থাকা |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ১০,৭০০ টাকা | সাজেকে ১ রাত থাকা (খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দর্শন) |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ১১,৫০০ টাকা | ২ রাত থাকা |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ১৩,০০০ টাকা | সাজেকে ২ রাত থাকা (খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা,রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দর্শন) |
দেবতা পুকুর, আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ | ৫৫০০ টাকা | সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত |
জীপ ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ
- খাগড়াছড়িতে জীপের কাউন্টার আছে সেখানে জীপ পাবেন এবং ভাড়া নির্ধারন করা। যদি আপনি দুই রাতের বেশি থাকতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কত দিতে হবে তা আগেই জেনে নিবেন।
- জীপে ১০-১৩ জন উঠা যায়।
- এমনিতে জীপ খাগড়াছড়ি/দিঘীনালাতে গিয়েই পাওয়া যায়। তবে ছুটির দিনে গেলে আগে থেকে ঠিক করে যাওয়াই ভালো।
- খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টার মত আর দিঘীনালা থেকে ২.৩০ ঘন্টা।
- ছোট গ্রুপ হলে জীপ কাউন্টারে গিয়ে অন্য গ্রুপের সাথে মিলে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এতে পুরো জীপ রিজার্ভ করার খরচ বেঁচে যাবে।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়া আসার সিএনজি ভাড়ার তালিকা
স্থান সমূহ | প্রকৃত ভাড়া | মন্তব্য |
---|---|---|
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ২৭০০ টাকা | শুধু যাওয়া |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৪২০০ টাকা | দিনে দিনে আসা-যাওয়া |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৫২০০ টাকা | ১ রাত থাকা |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৬২০০ টাকা | সাজেকে ১ রাত থাকা (খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দর্শন) |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৬২০০ টাকা | ২ রাত থাকা |
খাগড়াছড়ি হতে সাজেক | ৭২০০ টাকা | সাজেকে ২ রাত থাকা (খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা ও ঝুলন্ত ব্রিজ দর্শন) |
সিএনজি ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ
- যদি আপনি দুই রাতের বেশি থাকতে চান সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কত দিতে হবে তা আগেই জেনে নিবেন।
- সিএনজিতে ৪ জন উঠা যায়। সামনে ১জন, পিছনে ৩জন।
- ব্যক্তিগতভাবে আমি সিএনজিতে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি না। এক্ষেত্রে অন্য গ্রুপের সাথে মিলে জীপে যেতে পারেন। খাগড়াছড়ির জীপ কাউন্টারে গেলে শেয়ার করার মত জীপ পেয়ে যেতে পারেন।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক বাইক ভাড়া
- একা/দুইজন হলে বাইকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি থেকে না উঠে দিঘীনালা থেকে উঠা ভালো। বাইকে দিঘীনালা থেকে ২০০০+ টাকা পড়বে। (এক বাইকে দুইজন উঠতে পারবেন)
হোটেল ও রিসোর্ট
সাজেকে থাকার অনেক রিসোর্ট রয়েছে। রিসোর্ট থেকে ভালো ভিউ পাওয়া যাবে এমন কিছু ভালো মানের রিসোর্টের তালিকা নিচে করে দিলাম।
- মেঘমাচাং রিসোর্ট
- সাজেক ইকো ভ্যালি
- সাম্পারি রিসোর্ট
- সাংগ্রাই হিল রিসোর্ট
- জুমঘর ইকো রিসোর্ট
- মেঘপুঞ্জি
- মেঘছুট রিসোর্ট
- আদ্রিকা ইকো কটেজ
- গরবা রিসোর্ট
- সারা নীলকুটির রিসোর্ট
- মেঘ বাতায়ন ইকো রিসোর্ট
- লক্ষণ কটেজ – সালকা ইকো রিসোর্ট
- সুমুই ইকো রিসোর্ট
- সাজেক ক্লাসিক রিসোর্ট
- ইন্দুবালা রিসোর্ট
- চাঁদের বাড়ি রিসোর্ট
- অবকাশ ইকো কটেজ
- লুসাই হেরিটেজ ভিলেজ রিসোর্ট
- কিন্নর কটেজ
- মেঘরাজ রিসোর্ট
সাজেকে রিসোর্ট বুকিং করতে ক্লিক করুন ওয়াটসএপ বাটনে
আর্মিদের দুইটি রিসোর্ট আছে
i)সাজেক রিসোর্ট
সাজেক রিসোর্টের দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে। ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা। অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি। খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।
ii)রুন্ময় রিসোর্ট
রুন্ময়ের নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।
রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ
এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত এবং এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই – ০১৮৩৮৪৯৭৬১২, ০১৮৭২৪৬৮৯৪২। লক্ষন – ০১৮৬০১০৩৪০২।
*রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজের তথ্য Nizam Uddin ভাইয়ের নোট থেকে নেওয়া।
*রিসোর্টের ভাড়ায় পরিবর্তন হতে পারে। আপডেটুডেট তথ্যের জন্য যখন যাবেন ফোন করে জেনে নিবেন।
রিসোর্ট বুকিং সংক্রান্ত পরামর্শ
- ছুটির দিন/অতিরিক্ত ভীড় হতে পারে এমন দিন ব্যতীত অন্য সময় আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, অনেক রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে গিয়েই রিসোর্ট বুকিং করতে পারবেন। তবে পরিবার বা বড় গ্রুপ হলে আগে থেকে বুকিং করে যাবেন।
- রুম থেকে ভালো ভিউ পাওয়া যায় এমন রিসোর্টে থাকার চেষ্টা করবেন।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ ২০২৪
সাজেকে গ্রুপ করে গেলে বেশ কম খরচে ঘুরে আসা সম্ভব। কারন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক পর্যন্ত জীপ/মাহিন্দ্রা বা সিএনজি রিজার্ভ করতে হয়। ৩/৫/১২ জনের গ্রুপ হলে এই খরচটা কমে আসে। এছাড়া খাগড়াছড়ি পৌঁছে অন্য গ্রুপের সাথে একসাথে হয়েও রিজার্ভ জীপের খরচ কমানো যায়। তবে সেক্ষেত্রে পারস্পারিক সমঝোতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া, খাওয়া, থাক সব মিলিয়ে জনপ্রতি ৪-৬ হাজার টাকা খরচ হবে যদি গ্রুপ করে যান এবং মোটামোটি মানের হোটেল থাকেন। এই খরচ নিজেদের রুচি এবং বাজেট অনুযায়ী আরো অনেক বাড়ানো সম্ভব।
খাবার ব্যবস্থা
খাবার খরচ আইটেমভেদে ২০০-৪০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
খাবার সংক্রান্ত পরামর্শ
সাজেকে খাবার রান্না করা থাকে না। যখনই খাবেন ১-২ ঘন্টা আগে খাবার অর্ডার করে রাখতে হবে।
সাজেক যাওয়ার সময় যেখানে থাকবেন তাদের বললে অথবা জীপ ড্রাইভারকে বললে খাবারের ব্যবস্থা করে রাখবে।
সাজেকে সবকিছুই পাওয়া যায় তবে দাম একটু বেশি। পানি বা অন্যান্য দরকারী জিনিস তাই দিঘীনালা থেকে কিনে নিতে পারেন।
সাজেকে দেখার যা আছে
- রুইলুই পাড়া
- মেঘমাচাং, মেঘপুঞ্জি, জুমঘর কটেজ (না থাকলেও গিয়ে দেখতে পারেন)
- সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট (না থাকলেও গিয়ে দেখতে পারেন)
- রুন্ময় রিসোর্ট (না থাকলেও গিয়ে দেখতে পারেন)
- স্টোন গার্ডেন (সাজেক ভ্যালি রিসোর্টের পাশে, ২০ টাকা টিকেট)
- হেলিপ্যাড-১ থেকে সূর্যাস্ত
- হেলিপ্যাড-২ থেকে সূর্যোদয়
- হেলিপ্যাড-২ এর পাশের দোলনায় দোল খাওয়া
- কংলাক পাড়া (রুইলুই পাড়া থেকে হেঁটে যেতে ৪৫ মিনিট লাগে, ভোর বেলা যাওয়া ভালো)
- কংলাক পাড়ার চূড়া থেকে সূর্যোদয় দেখা
- ঝাড়ভোজ পিকনিক স্পটে যাওয়া (২০ টাকা টিকেট)
- হেলিপ্যাডে বসে রাতের আকাশ উপভোগ করা
- খুব ভোরে মেঘের চাদরে ঢাকা পাহাড় দেখা
- কমলক ঝর্ণা (হেঁটে যেতে ২-২.৫ ঘন্টা লাগে, রুইলুই পাড়া থেকে গাইড ৩০০-৩৫০ নিবে)
- রুইলুই পাড়ার কুয়াতে গোসল করা
খাগড়াছড়িতে দেখার যা আছে
- তারেং/ রিসাং ঝর্ণা
- আলুটিলা গুহা
- পর্যটন মোটেল
- জেলা পরিষদ পার্ক
- ঝুলন্ত ব্রিজ
দিঘীনালাতে দেখার যা আছে
- হাজাছড়া ঝর্ণা
- দিঘীনালা বনবিহার
- তৈদুছড়া ঝর্ণা
- সিজুক ঝর্ণা
সাজেকে ট্যুর প্যাকেজ বুকিং করতে ক্লিক করুন ওয়াটসএপ বাটনে
কিছু জরুরী পরামর্শ
- জীপ দিয়ে যাওয়ার পথে শিশুদের দিকে চকলেট ছুড়ে মারবেন না।
- বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে ছবি তোলা নিষেধ।
- আমরা অতিথি। পাহাড়ীদের সংস্কৃতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু করবেন না।
- রুইলুই পাড়ার কুয়ায় অবশ্যই গোসল করবেন।
- কংলাক পাড়া সবাই উঠতে পারে তবে বৃষ্টি হলে পথ পিচ্ছিল হয়ে থাকে। পাড়ায় উঠার আগে একটা সাবধান বানী আছে সেটা মানবেন।
- কমলক ঝর্ণায় যাওয়ার সময় ৮০/৮৫ ডিগ্রি এংগেলের খাড়া পাহাড় আছে। ট্রেকিং এর অভ্যাস না থাকলে যাবেন না।
- হাজাছড়া ঝর্ণার উপরে উঠলে বুঝে উঠবেন। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
- রিসাং ঝর্ণায় স্লাইড কাটার সময় সাবধান থাকবেন। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
- অতি দুঃসাহসিক কিছু করতে গিয়ে গ্রুপের সকলকে বিপদে ফেলবেন না।
- বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ফেলার ঝুড়ি আছে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না।
- প্রতিবেলা খাবারের আগে থেকে অর্ডার দিতে হবে।
- রিসোর্ট, জীপ আগে থেকে ঠিক করে যাওয়া ভালো।
- শুধু রবি সিমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
- ইলেকট্রিসিটি নাই তবে জেনারেটর/সোলার প্যানেল আছে। কোন রিসোর্ট/কটেজে থাকবেন সেটার উপর নির্ভর করবে জেনারেটর সুবিধা পাবেন কিনা। তবে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়াটাই ভালো।
- চাঁদের গাড়ির ছাদে যাওয়ার সময় সাবধান থাকবেন। একটু অসাবধানতাও বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
- ছেলে বা শুধু মেয়েদের গ্রুপ হোক। নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই।
সাজেক দূরত্ব
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ১৭০-১৮০ কিলোমিটার।
কক্সবাজার থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ৩২০-৩৩০ কিলোমিটার।
ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ৩৪০-৩৫০ কিলোমিটার।
ফেনী থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ১৮০-১৯০ কিলোমিটার।
কুমিল্লা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ২৪০-২৫০ কিলোমিটার।
সিলেট থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? প্রায় ৪৪০-৪৫০ কিলোমিটার।
রাঙামাটি থেকে সাজেক কত কিলোমিটার? রাঙ্গামাটি শহর থেকে সাজেক সরাসরি স্থলপথে যেতে হলে অনেক ঘুরে যেতে হয়। পানিপথে লংগদু থেকে কাপ্তাই লেক ঘুরে রাঙ্গামাটি শহরে যাওয়া যায়।
আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
২০১৬ সালে বন্ধুদের সাথে সাজেক ঘুরতে গিয়েছিলাম। বর্তমানের সাথে তখনকার পরিবেশের রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। সেসময়কার পরিবেশ সম্পর্কে ধারনা পেতে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্রমণ পোস্টটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন
Featured Image Source: মেঘপুঞ্জি ফেসবুক পেজ