লটকন খেতে নরসিংদী ফেরার পথে কিশোরগঞ্জ – ভ্রমণের স্মৃতিকথা (পর্ব-৮)
১১ জুলাই, ২০১৬। রাতে সিদ্ধান্ত নেই পরদিন ভোরে লটকন বাগান দেখতে নরসিংদী যাবো! লটকনের বাগান দেখতে কেউ নরসিংদী যাবে এমন আজগুবি কথা নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগলেও একা ভ্রমণের এই তো মজা। যেখানে ইচ্ছা, যে কারনে ইচ্ছা যাওয়া যায়। ঘুরতে ঘুরতে কত কিছু দেখা যায়, জানা যায়।
নরসিংদীতে কি দেখবো, কিভাবে যাবো সেসব প্ল্যান আগে গোছানো ছিলো। নতুন করে আরেকবার চোখ বুলিয়ে ঘুমাতে গেলাম। সকাল ৭.৩০টায় ট্রেন। কিন্তু ঘুম আর আসে না। সারারাত ছটফট করলাম। ৫টার দিকে বিরক্ত হয়ে উঠে গেলাম। ব্যাগ গুছিয়ে ৫.৫২ মিনিটে বাসা থেকে বের হলাম।
৬.৩৮ মিনিটে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম এগারোসিন্ধু ট্রেন আসবে ৭.৪২ মিনিটে। টিকেট ছাড়া উঠবো ভেবেছিলাম। সময় আছে দেখে টিকেটের লাইনে দাঁড়ালাম। লাইন বেশি বড় না থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই টিকেট করে ফেললাম। তবু এই সময়ের মধ্যেই কত ঘটনা দেখলাম। রেলস্টেশন, রেললাইন, ট্রেন মানেই প্রতিটা মুহূর্তে কিছু না কিছু ঘটবেই!
আমার একটা প্রবাদ আছে, ‘প্রতিটা বাস ভ্রমণ শুধুই বাস ভ্রমণ। প্রতিটা রেলভ্রমণ একেকটি গল্প।’
মঙ্গলবারে ট্রেনে ভীড় কম হবে মনে করেছিলাম। সে আশায় গুঁড়েবালি, মানুষ আর মানুষ। ৭.৪৪ মিনিটে ট্রেন আসলে ধাক্কাধাক্কি করে এক বগির গেটে দাঁড়িয়ে পড়লাম। ৭.৪৯ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে দিলো। ট্রেনের সে কি গতি, কোন থামাথামি নেই। ট্রেনের গেটে বসে মেঘলা দিনের শান্ত সবুজ প্রকৃতিকে সাথে নিয়ে ৮.৩৪ মিনিটে নরসিংদী পৌঁছে গেলাম।
রেলস্টেশনের কাছেই আরশিনগরের মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক প্রথম গন্তব্যস্থল। যাকেই চিড়িয়াখানার কথা জিজ্জাসা করি অবাক হয়। ১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে বুঝলাম, কেনো অবাক হচ্ছিলো! কয়েকটা কুকুর, পাখি আর ছাগল ছাড়া কিছু নাই। বিশাল এক পুকুর আর কয়েকটি খাঁচা নিয়ে চিড়িয়াখানা।
আমার লেখা ই-বুক কিনতে এখানে ক্লিক করুন
পার্কের বাইরে বিশাল বটগাছ। সেখানে আরশিনগর। ছোটবেলায় কত গান শুনেছি, “বাড়ির পাশে আরশিনগর, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।” সত্যিই তো কত কাছের আরশিনগর অথচ এতগুলো বছর আমাদের দেখা হয় নাই।
আরশিনগরের পাশে বয়ে চলছে মেঘনা নদী। বাঁধ দেওয়া আছে। ফুরফুরা বাতাস খেতে খেতে বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটতে থাকলাম, যাবো মেঘনা নদী লঞ্চ ঘাট। জানতে পারলাম ঘাট দুইটা; নতুন ঘাট ও পুরাতন ঘাট। দুইটাই সচল। আমি যেখানে আছি সেখান থেকে পুরানোটা কাছে দেখে সেখানেই গেলাম।
মেঘনা নদীর বাতাসে পাগল হয়ে গেলাম। বিকাল কাটানোর জন্য অসম্ভব সুন্দর জায়গা। ভাড়ায় চলার জন্য স্পিড বোট, ট্রলার আছে। চলে আসতে ইচ্ছা না করলেও পা বাড়ালাম। মায়ায় পড়া যাবে। মায়ায় জড়ালে ভ্রমণ হবে না…
নরসিংদী যেকারনে আসা সেই লটকন বাগান দেখতে যাবো এখন। সাথে উয়ারী-বটেশ্বর। মরজালে যাওয়ার জন্য ভেলানগর থেকে ভৈরবগামী বাসে উঠতে হবে। অটো খুঁজতে হাঁটতেছি হঠাৎ এক গলির ভিতর দেখি খালের মত। ঢুকে দেখি ঘাট আছে। ঘাটে ঢুকতে টিকেট লাগে। জিজ্ঞাসা করে জানলাম নদীর নাম, মরিচার নদী। মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি। বড়িগঙ্গার মত পানির রঙ কুচকুচে কালো। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা নদীর কোন মূল্যায়ন আমাদের কাছে নেই। আমরা আছি ভোগের উন্নয়নে…
ভেলানগর থেকে বাসে করে মরজাল বাসষ্ট্যান্ডে নামলাম। বাস থেকে নেমেই দেখি বিশাল টুকরিতে লটকন ভরতেছে। আমি তো মহাখুশি। এমন কত ছবি আমি গত কয়েকদিন ইন্টারনেটে দেখছি, আজ তা চোখের সামনে। সাথে থাকা ক্যামেরায় কয়েকটা ছবি তুললাম।
উয়ারী-বটেশ্বর যাবো সাথে লটকন বাগান দেখবো। অটো নিয়ে বটেশ্বর মোড়ে গেলাম। উয়ারী যাবো শুনে অটোওয়ালা বললো, “যান। দেখে বলবেন কেন আসলাম।” শুনে অবাক হলেও কিছু বললাম না।
এক দোকানে জিজ্ঞাসা করতে রাস্তা দেখিয়ে দিলো। ১৫ মিনিটের মত লাগবে হেঁটে গেলে। এখন খননের কাজ চলতেছে না। হাবিবুল্লাহ পাঠানের বাড়িতে গেলে জাদুঘর দেখা যাবে।
হাঁটা শুরু করলাম। রাস্তায় কোন মানুষ নেই, কোন দোকান নেই, পুরো নির্জন। রাস্তার দুইপাশে বাঁশ গাছ ভর্তি। বাতাসে সোঁ সোঁ শব্দ হচ্ছে, বেশ ভয় ভয় লাগতেছিলো। হঠাৎ লটকন গাছ দেখে থমকে গেলাম। গাছ জুড়ে লটকন ধরে আছে।
লটকন অন্য ফলের মত ডালে হয় না, কান্ডে হয়। বেশ কিছু ছবি তুললাম। কোন মানুষও নেই যে অনুমতি নিয়ে লটকন খাবো। না খেয়েই আবার হাঁটা ধরলাম।
হাবিবুল্লাহ পাঠানের বাড়ি খুঁজে পাই না। রাস্তায় মানুষ নেই যে কাউকে জিজ্ঞাসা করবো। একজনকে পেয়ে জিজ্ঞাসা করতে বললো আমি পিছনে রেখে আসছি। আবার পিছে ঘুরে গিয়ে আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করতে বললো সামনে ফেলে আসছি।
বেশ খোঁজাখুঁজির পর পেলাম। বাসায় ঢুকে বেশ অবাক হলাম। নিরাপত্তাহীন ভাবে দামিদামি সবজিনিস পড়ে আছে। আমি ঢুকলাম, দেখলাম, ছবি তুললাম, বের হয়ে আসলাম। এরমধ্যে একজনও আসলো না। কাউকে দেখলামও না। আমি শুধু এটা দেখতে ঢাকা থেকে আসছি শুনে কেনো সবাই অবাক হচ্ছিলো এবার বুঝলাম।
উয়ারী-বটেশ্বর হলো বেলাব উপজেলার পশ্চিম দিকে উয়ারী ও বটেশ্বর নামক দুটি গ্রাম। এখানে বাস করতো অদম্য ও সাহসী গঙ্গারিডি জাতি। যাদের সাহসিকতায় বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডারও দমে যান ভারতবর্ষ আক্রমনে। বিয়াস(বিপাশা) নদী পার হয়ে উপমহাদেশে ঢোকার দু:সাহসিকতা দেখান নি।
বটেশ্বর মোড়ে যেতে আবার সেই হাঁটা। চিন্তা করলাম এতদূর আসলাম আর গাছ থেকে নিজ হাতে লটকন পেড়ে খাবো না, তা কি করে হয়। মনে আফসোস রাখা ঠিক হবে না ভেবে একটা গাছ থেকে পেড়ে খেলাম। তখনো কোন মানুষের দেখা পাই নি যে অনুমতি নিবো। লটকন অসম্ভব মিষ্টি। মনের আশা পূরন হইছে। আবারও হাঁটা দিলাম।
বেলাবো উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ দেখতে অটোতে নিয়ে বেলাবো বাজার গেলাম। কিছুটা ক্ষুধা অনুভব হওয়ায় এক হোটেলে ঢুকলাম। সিঙ্গারার মত প্রেম থাকায় সিঙ্গারা, পেঁয়াজু নিলাম। সিঙ্গারা দেখতে অন্যরকম, মনে হয় কাঁচা। তবে স্বাদ ভালো। পেয়াজুগুলো ছোট সাইজের। এটার স্বাদও ভালো। খাওয়া শেষে দোকানীকে জিজ্ঞাসা করতে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিলো। ৩-৪ মিনিটে হেঁটে পৌঁছে গেলাম।
বেলাবো মসজিদ বেশ বড় আর সুন্দর। মসজিদের পাশে বিশাল পুকুর, পুকুরের পাশে চটপটির দোকান। চটপটি দেখে লোভ লাগলো। আগুন গরম চটপটি দেখে খেলাম। স্বাদ অন্যরকম হলেও বেশ ভালো। অর্ডার করার সময় দোকানি বলতেছিলো, “কত জায়গায় কত কিছুই তো খাইছেন। এবার আমার ১০ টাকার এই চটপটি খাইয়া দেখেন।”
নরসিন্দী ঘুরা শেষ। এবার কিশোরগঞ্জ যাবো। আমি যে পথে আসছি সে পথেই যাওয়া যাবে। কিন্তু আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে, একই রাস্তায় আমি দুইবার যেতে চাই না।
অন্যকোন পথ আছে কিনা জানতে এক ফার্মেসীতে বসা আংকেলকে জিজ্ঞাসা করলাম। উনি পথ বলে দিলেন। সাথে আমি কোথা থেকে আসছি, কেন আসছি জিজ্ঞাসা করলেন। ঘুরতে আসছি শুনে আমাকে বসতে বললেন। উনিও ঘুরতে পছন্দ করেন। চারটা দেশ ঘুরেছেন। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়াও নাকি ঘুরে দেখেছেন। প্রায় ঘন্টাখানেক উনার ভ্রমণ জীবনের অনেক গল্প শুনিয়ে, চা দিয়ে আপ্যায়ন করে দুপুর ২ টার দিকে বিদায় দিলেন।
কিশোরগঞ্জ যেতে হলে আমাকে দুইবার সিএনজি পাল্টাতে হবে। এরপর বাসে কিশোরগঞ্জ। একটা ব্রিজ আছে। ব্রিজের এপাড়ে নরসিংদী ওপাড়ে কিশোরগঞ্জ। আড়িয়াল খাঁ নদীর(নেটে কোথাও কোথাও দেখলাম এটা নদ, ব্রক্ষ্মপুত্র থেকে এর উৎপত্তি) উপর ব্রিজটি।
সিএনজি নিয়ে প্রথমে গেলাম ডুমরাকান্দি। সেখানে গরু-ছাগলের হাট বসেছে। কিছুক্ষন হাটে ঘুরাঘুরি করে, আরেক সিএনজি নিয়ে দাড়িয়াকান্দি চলে আসলাম।
কিশোরগঞ্জের বাসে উঠে ঘুম দিলাম। ভেবেছিলাম যেতে হয়ত ১০-১৫ মিনিট লাগবে। কিন্তু প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বিন্নাঢী মোড়ে বাস নামিয়ে দিলো। বিন্নাঢী মোড় থেকে আবার অটো করে কিশোরগঞ্জ সদর মোরগ মহল। এখান থেকে রিকশা করে অবশেষে আমার গন্তব্যস্থল শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।
বিশাল বড় ময়দান, ৬.৬১ একর। ময়দানের সবচেয়ে বড় বটগাছটা দেখে বেশ অবাক হলাম। কিছুক্ষন ঘুরে চিন্তা করতেছিলাম এখন কি করবো? ট্রেনে করে চলে যাবো নাকি আরো কিছুক্ষন ঘুরে এরপর বাস দিয়ে যাবো। মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম এখন আর কোন ট্রেন নেই। একটা ট্রেন আছে, লোকাল। সেটাও ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে চলে আসবে। সব শুনে ঠিক করলাম আরো কিছু সময় ঘুরে বাসে করে ঢাকা যাবো।
আমার হাতে যে সময় আছে তা তে করে আমার লিস্টে থাকা যেকোন একটা জায়গাতে যাওয়া সম্ভব। ঠিক করলাম পাগলা মসজিদ যাবো। কারন, মসজিদের পাশে নরসুন্দা নদী বয়ে চলেছে। নদীর পাড়ে বসে খোলা হাওয়া খাওয়া যাবে।
রিকশা করে হারুয়ায় অবস্থিত পাগলা মসজিদে যাওয়ার সময় নরসুন্দা নদীর দেখা পেলাম। কিন্তু নদী কই এ’তো খাল। পানিও অনেক ময়লা। নরসুন্দা নদী নাকি একসময় খরস্রোতা ছিলো, দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।
পাগলা মসজিদের ইতিহাস বেশ রোমাঞ্চকর। জনশ্রুতি আছে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিতু হন এবং তাঁকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। উক্ত পাগলের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির পাশে পরবর্তীতে মসজিদটি গড়ে উঠে। কালক্রমে তাই এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত পায়। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীই নয়, সকল ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অনেকের বদ্ধমূল বিশ্বাস, কেউ যদি সহি নিয়তে মসজিদে দান খয়রাত করে তবে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়।
পাগলা মসজিদের গেটে মুড়ি বানানী খেলাম। অনেক লোক দেখলাম মসজিদের পাশে ভীড় করে আছে। জানতে পারলাম, মানুষের মানত করা জিনিস নিলামে উঠিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। গিয়ে দেখি মুরগি, ছাগল, সবজি, ফল যাই মানত করে দেওয়া হয়েছে সব নিলামে উঠানো হচ্ছে। মানুষ দাম হাঁকিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
নরসুন্দার দুর্দশা দেখে কষ্ট পেলেও আশার বানী হচ্ছে নরসুন্দা নদীকে বাঁচানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে। নদীর দু’পাড়ে বাঁধ দেওয়া হবে। ওয়াচ টাওয়ার বানানো হচ্ছে, ব্রিজ বানানো হচ্ছে। নদীর পাড় ঘেষে পার্ক আছে। সম্পূর্ন প্রকল্পটা বাস্তবায়নের পর কিশোরগঞ্জ জেলা একটা পর্যটন জেলা হতে পারে আশা করা যায়। (আমি গিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। বর্তমান আপডেট কেউ জানলে জানাবেন)
নরসুন্দা নদীর পাশে গড়ে উঠা পার্কে ওয়াচ টাওয়ার হচ্ছে। সেখানে উঠে চারপাশের ছবি তুললাম।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেদিনের মত ভ্রমণের সমাপ্তি ঘোষণা করলাম।
অটোতে করে গাইটাল বাসষ্ট্যান্ড গিয়ে হালকা নাস্তা করে নিলাম। অনন্যা ক্লাসিক বাসে ঈদের পাঁচ দিন পরেও ২০০ টাকার টিকেট ২৫০ টাকায় কিনতে হলো!
বাসে উঠেই ঘুম। ঘুমের মধ্যে টের পাচ্ছিলাম বাস যেন রকেটে গতিতে ছুটতেছে। লোকাল বাস না হলে ২ ঘন্টাও লাগতো না ঢাকা আসতে। জ্যাম আর লোকাল যাত্রী তোলার জন্য খিলখেত আসতে আসতে ৩ ঘন্টার বেশি সময় লেগে গেল। বাস থেকে নেমে অনেক ক্লান্ত থাকলেও মুখে ছিলো প্রশান্তির হাসি। ঈদের ছুটিতে এমন একটা ভ্রমণের দরকার ছিলো।