ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ভ্রমণ গাইড (উৎমাছড়া, তুরংছড়া, চা বাগানসহ)
সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ স্পট ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর সাথে উৎমাছড়া, তুরংছড়া ও চা-বাগান ঘুরে দেখার বিস্তারিত সব তথ্য এই পোস্ট থেকে জেনে নিবো।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর ঘোরার সেরা সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী কয়েকমাস অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর। এছাড়া অন্যসময় গেলে পাথরের দেখা মিললেও নদী বা ছড়ায় পানির পরিমাণ কম থাকে।
শীতকালে, সাদা পাথর এলাকায় নৌকা চলাচল করার মত পানি থাকেনা। তখন পায়ে হেঁটে ঘুরতে হয়।
ভ্রমণ প্ল্যান
ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
- দেশের যেকোন জায়গা থেকে খুব সকালে প্রথমে সিলেটের আম্বরখানা।
- আম্বরখানা থেকে বাস/লেগুনা/সিএনজিতে ভোলাগঞ্জ দশ নাম্বার ঘাট। সময় লাগবে দেড় ঘন্টার মত।
- ভোলাগঞ্জ থেকে রিজার্ভ নৌকায় সাদা পাথর। এক নৌকায় সর্বোচ্চ ১০ জন বসা যায়।
- মানুষ কম হলে লোকাল নৌকায় যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে নৌকা ভরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
- সাদাপাথর ঘোরা শেষে আগের মতই সিলেট আম্বরখানা।
- সময় থাকলে সিলেট শহরের কোন চা বাগান বা আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে রাতে সিলেট থাকা বা নিজ গন্তব্যস্থলে চলে যাওয়া।
সাদা পাথর, উৎমাছড়া ও তুরংছড়া
- ভোলাগঞ্জের কাছাকাছি আরো দুটি পর্যটন স্পট উৎমাছড়া ও তুরংছড়া।
- সাদা পাথর ভ্রমণ শেষে সিলেট শহরে চলে না এসে উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ঘুরে আসতে পারেন।
- উৎমাছড়া যেতে চাইলে প্রথমে যেতে হবে দয়ারবাজার।
- যে নৌকায় সাদা পাথর ঘুরবেন তাকে বললেই দয়ারবাজার ঘাট নামিয়ে দিবে। নৌকা ঠিক করার সময় কথা বলে নিবেন।
- দয়ার বাজার থেকে সিএনজি/বাইক নিয়ে চরার বাজার।
- চরার বাজার থেকে ১০-১৫ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে উৎমাছড়া পয়েন্ট। স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়ে দিবে।
- চরারবাজার থেকে তুরংছড়া হেঁটে যেতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। হাঁটতে না চাইলে বাইকে যেতে পারবেন।
- সিলেটে ফিরে আসার সময় চরারবাজার থেকে সরাসরি সিএনজি নিয়ে আম্বরখানা।
লাক্কাতুর চা বাগান, সাদাপাথর, রাতারগুল ডে ট্রিপ
- দেশের যেকোন জায়গা থেকে খুব সকালে প্রথমে সিলেট শহর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড।
- বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি/লেগুনা নিয়ে শহরের বিমানবন্দর রোডে লাক্কাতুর চা বাগান।
- চা বাগান ঘুরে চলে যাবেন আম্বরখানা।
- আম্বরখানা থেকে বাস/লেগুনা/সিএনজিতে ভোলাগঞ্জ।
- ভোলাগঞ্জ থেকে রিজার্ভ নৌকায় সাদা পাথর।
- ভোলাগঞ্জ থেকে সিএনজি বা লেগুনা রিজার্ভ করে সরাসরি রাতারগুল।
- ঘাট থেকে নৌকা রিজার্ভ করে রাতারগুল জলাবন।
- রাতারগুল ঘুরে সিলেট শহর ফিরে আসা।
- চাইলে আম্বরখানা থেকে সিএনজি বা বন্দর লেগুনা সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করে নিতে পারেন।
সোলো বা কম খরচে সাদাপাথর ও রাতারগুল
- সিলেটের মজুমদার পয়েন্ট থেকে বাসে ভোলাগঞ্জ বাজার।
- বাজার থেকে ইজি বাইকে ১০ নাম্বার ঘাট।
- নৌকায় অন্য কোন গ্রুপের সাথে শেয়ার করে উঠবেন।
- সাদাপাথর ঘুরে আবার ভোলাগঞ্জ বাজার চলে আসুন আগের মত।
- সিলেটগামী বাসে উঠে নামবেন ধুপাগুল পয়েন্ট।
- ধুপাগুল থেকে লোকাল সিএনজিতে সাহেববাজার।
- সাহেববাজার থেকে লোকাল ইজি বাইকে রাতারগুল চৌরঙ্গী ঘাট।
- চৌরঙ্গী ঘাট পর্যন্ত ইজি বাইক না গেলে চৌরঙ্গী রাস্তার মুখে নেমে ১ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে।
- ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে রাতারগুল ঘুরে ফেরার সময় সাহেববাজার আসবেন।
- সাহেববাজার থেকে লোকাল সিএনজিতে আম্বরখানা।
যাওয়ার উপায়
দেশের যেকোন স্থান থেকে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর যেতে হলে প্রথমে সিলেট শহর আসতে হবে।
সিলেট শহর থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
রিজার্ভ বা লোকাল সিএনজি, লেগুনা দিয়ে ভোলাগঞ্জ যাওয়া যায়। এছাড়া বাস, রিজার্ভ প্রাইভেট কার বা হায়েসেও যেতে পারবেন।
- বাস
- ঢাকা থেকে দিনে ও রাতে বিভিন্ন এসি ও নন-এসি বাস সিলেট যাতায়াত করে।নন-এসির মধ্যে ইউনিক পরিবহনের সার্ভিস বেশ ভালো। এছাড়া শ্যামলী, হানিফ, লন্ডন এক্সপ্রেস, গ্রীন লাইন সহ আরো বেশি কিছু পরিবহনের এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস রয়েছে।
- নন-এসি ৭০০ টাকা, এসি ১২০০-১৫০০ টাকা।
- ট্রেন
- ঢাকা থেকে সিলেট চারটি ট্রেন ছেড়ে যায়। পারাবত, উপবন, জয়ন্তিকা, কালনী।
- ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে উপবন এক্সপ্রেসের রাত ৮.৩০ মিনিটের ট্রেনে উঠতে পারেন। সিলেট গিয়ে পৌঁছাবেন ভোর ৫টায়।
- ট্রেনে ফিরতে চাইলে সিলেট থেকে উপবন এক্সপ্রেসের রাত ১১.৩০ টার ট্রেনে উঠলে সকাল ৬.৪৫ মিনিটে ঢাকা থাকবেন।
- ভাড়া
- শোভন চেয়ারঃ ৩২০ টাকা
- সিন্ধাঃ ৬১০ টাকা
- এসি সিটঃ ৭৩৬ টাকা
- এসি বার্থিঃ ১১০০ টাকা
- চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে দুইটি ট্রেন ছেড়ে যায়। উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস।
- ট্রেনে যেতে চাইলে চট্টগ্রাম থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসের রাত ৯.৪৫ মিনিটের ট্রেনে উঠতে পারেন। সিলেট গিয়ে পৌঁছাবেন ভোর ৬টায়।
- ট্রেনে ফিরতে চাইলে সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসের রাত ৮.৩০ টার ট্রেনে উঠলে সকাল ৫ টায় চট্টগ্রাম থাকবেন।
- ভাড়া
- শোভন চেয়ারঃ ৩৭৫ টাকা
- সিন্ধাঃ ৭২০ টাকা
- এসি সিটঃ ৮৬০ টাকা
- এসি বার্থঃ ১২৯০ টাকা
ট্রেনের সময়সূচি
ট্রেনের নাম | রুট | ছাড়ার সময় | পৌঁছার সময় |
---|---|---|---|
পারাবত এক্সপ্রেস | ঢাকা থেকে সিলেট | সকাল ৬.২০ মিনিট | দুপুর ১টা |
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস | ঢাকা থেকে সিলেট | সকাল ১১.১৫ মিনিট | সন্ধ্যা ৭টা |
কালনী এক্সপ্রেস | ঢাকা থেকে সিলেট | দুপুর ৩টা | রাত ৯.৩০ মিনিট |
উপবন এক্সপ্রেস | ঢাকা থেকে সিলেট | রাত ৮.৩০ মিনিট | ভোর ৫টা |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস | চট্টগ্রাম থেকে সিলেট | সকাল ৭.২০ মিনিট | বিকাল ৪.৩০ মিনিট |
উদয়ন এক্সপ্রেস | চট্টগ্রাম থেকে সিলেট | রাত ৯.৪৫ মিনিট | সকাল ৬টা |
কালনী এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে ঢাকা | সকাল ৬.১৫ মিনিট | দুপুর ১টা |
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে ঢাকা | সকাল ১১.১৫ মিনিট | সন্ধ্যা ৬.২৫ মিনিট |
পারাবত এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে ঢাকা | দুপুর ৩.৪৫ মিনিট | রাত ১০.৪০ মিনিট |
উপবন এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে ঢাকা | রাত ১১.৩০ মিনিট | সকাল ৬.৪৫ মিনিট |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে চট্টগ্রাম | সকাল ১০.৪৫ মিনিট | সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিট |
উদয়ন এক্সপ্রেস | সিলেট থেকে চট্টগ্রাম | রাত ৮.৩০ মিনিট | ভোর ৫টা |
- সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
- সিলেটের মজুমদারী এলাকা থেকে বিআরটিসি, লোকাল ও টুরিস্ট বাস ছাড়ে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বাসগুলো চলাচল করে। ভাড়া ১৫০ টাকা
- সিলেটের আম্বরখানা থেকে লোকাল বা রিজার্ভ সিএনজি এবং লেগুনা পাবেন।৫ জন বসা যায়। সামনে ২ জন, পিছনে ৩ জন। ভাড়া লোকাল- ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। রিজার্ভ আসা-যাওয়াঃ ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
- এক নৌকায় ৮-১০ জন বসা যায়। ভাড়া ৮০০-১৫০০ টাকা।
খাবার ব্যবস্থা
ভোলাগঞ্জ বাজার, দয়ার বাজার, চরার বাজার এরিয়াতে ভালো মানের কোন খাবার হোটেল নেই। সাধারন মানের হোটেলে ভাত, মাছ, মাংস খেতে পারবেন।
সিলেট শহরের জিন্দা বাজারের জল্লারপাড় রোডে বিখ্যাত পাঁচ ভাই হোটেল (গুগল ম্যাপ) ও পানসী হোটেল (গুগল ম্যাপ) -এ ভালো মানের বিভিন্ন পদের খাবার খেতে পারেন।
পরামর্শ
- সকালে সিলেট শহরে নাস্তা করে নিবেন।
- দুপুরে খাবার জন্য শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন। খেজুর, বিস্কুট ইত্যাদি।
- রাতে সিলেট শহরে এসে একবারে ভালো করে রাতের ডিনার করবেন।
থাকার ব্যবস্থা
ভোলাগঞ্জ ঘোরার জন্য রাতে থাকার প্রয়োজন হয় না। ভোরে রওনা হলে সারাদিন ঘুরে খুব সহজেই সিলেট শহরে চলে আসা যায়।
তবু কোন কারনে থাকার প্রয়োজন হলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে আসতে হবে। এখানে থাকার মত সাধারন মানের বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।
সিলেট শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল রয়েছে। লালাবাজার ও শাহ জালাল মাজার দরগা এরিয়াতে অল্প খরচে অনেক হোটেল পাবেন। এছাড়া কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এরিয়াতেও বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।
ভ্রমণ খরচ
- ঢাকা-সিলেট-ঢাকা নন এসি বাসঃ ১৪০০ টাকা
- আম্বরখানা – ভোলাগঞ্জ – আম্বরখানা বাস ভাড়াঃ ৩০০ টাকা
- নৌকা ভাড়াঃ ৩০০ টাকা (১২০০ টাকা, ৪জনের গ্রুপ)
- খাবারঃ ৪০০ টাকা
- টোটালঃ ২৪০০ টাকা
৪ জনের গ্রুপের আনুমানিক ২৩০০-২৭০০ টাকা জনপ্রতি খরচ হতে পারে শুধু ভোলাগঞ্জ ঘুরলে। আরো অল্পকিছু টাকা যোগ করে অন্যান্য জায়গায়ও ঘুরে দেখতে পারেন।
প্রয়োজনীয় তথ্য
- গ্রুপ করে ঘুরলে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ট্যুর দিতে পারবেন।
- ৫ জন হলে সিএনজি নিয়ে ঘুরতে পারেন। ৫ থেকে ১৪ জন হলে লেগুনা নিয়ে ঘুরতে পারেন।
- নৌকা ঠিক করার সময় কতক্ষন কোথায় থাকবেন এবং কোথায় কোথায় যাবেন ভালোমত বলে নিবেন।
- ভোলাগঞ্জে বর্ষাকাল ছাড়া নৌকায় যাওয়া যায় না।
- সাঁতার জানা না থাকলে বেশি গভীর পানিতে নামবেন না। নামলেও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করবেন।
- সন্ধ্যার আগেই ভোলাগঞ্জ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করবেন।
- সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। দুঃসাহসিক কিছু করতে গিয়ে নিজে এবং অপরকে বিপদে ফেলবেন না।
- যেকোন যানবাহন ঠিক করার পূর্বে অবশ্যই ভাড়া নিশ্চিত হয়ে নিবেন এবং দরদাম করবেন।
ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর বর্ণণা (Bholaganj Sada Pathor)
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জে এটি অবস্থিত। এটি দেশের সর্ববৃহত্তম পাথর কোয়ারিও।
ভোলাগঞ্জের আরেকপাশে ভারতের মেঘালয়ের বিশাল সব পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে আফসোস জাগে।
সেই মেঘলয় পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার পানির প্রবাহ সৃষ্টি করেছে, ধলাই নদ। এই নদের উৎস মুখে হাজার হাজার পাথরের অংশটুকুই ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা সাদা পাথর নামে পরিচিত।
বর্ষাকালে এখানে একই সাথে দেখা মিলবে পাহাড়, নদী, মেঘ ও বৃষ্টির খেলা। বিধাতা এখানে প্রকৃতিকে যেন ঢেলে সাজিয়েছে।
ভোলাগঞ্জের রোপওয়ে, পাথর কোয়ারি এবং পাহাড়ির মনকাড়া দৃশ্য দেখতেই মুলত প্রকৃতপ্রেমীরা এখানে ভীড় করে।
গুগল ম্যাপে ভোলাগঞ্জ
লাক্কাতুর চা বাগান বর্ণণা (Lakkatur Tea Garden)
সিলেট শহরের বিমানবন্দর রোডে চৌকিদেকিতে লাক্কাতুর চা বাগান অবস্থিত। এটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম চা বাগান।
চা বাগানটি প্রায় ২৯৩ হেক্টর বা ৩২০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। বছরে প্রায় ৫ লক্ষ কেজি চা এই বাগান থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে।
এই বাগানে হাঁটলে চোখে পড়বে কমলা, কাঁঠাল ও সুপারি বাগান, ট্যাং ফল, আগর, রাবার, চন্দনসহ অনেক ঔষধী ও শোভাবর্ধক বৃক্ষ।
বাগানের প্রতিটি ট্রেইল প্রায় দুই ঘণ্টা হাঁটা দূরত্বের সমান দীর্ঘ।
গুগল ম্যাপে লাক্কাতুর চা বাগান
উৎমাছড়া বর্ণণা (Utma Chora)
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে উৎমাছড়া অবস্থিত।
উৎমাছড়া যেন আরেক বিছানাকান্দি। চারিদিকে পাহাড়, সবুজের ছড়াছড়ি আর বয়ে চলা শীতল জলরাশি।
বর্ষাকালে এর রূপ বেড়ে যায় বহুগুনে। অন্যান্য ঋতুতে শুকনো পাথরের মরুভূমিতে রূপ নেয়। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু পাথর আর পাথর।
গুগল ম্যাপে উৎমাছড়া
তুরংছড়া বর্ণণা (Turun Chora)
তুরং ছড়াকে অনেকে কূলী ছড়া নামে ডেকে থাকে।
ধবধবে সাদা পানি, সবুজ বৃক্ষ, লালচে, বাদামীরঙা পাথর সব মিলিয়ে এ যেন ভিন্ন কোন জগৎ।
পানি এখানে এত স্বচ্ছ যে, পানির নিচের পাথরসহ সব কিছু স্পষ্ট দেখা যায়।
আরো দেখা মিলে, উজান থেকে ভাটিতে পানি নামার অবিস্মরণীয় দৃশ্য।
গুগল ম্যাপে তুরং ছড়া
ফিচার ইমেজ ও পোস্টের ইমেজ কালেক্টেড ফ্রম ফেসবুক।
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর প্রায় ৩৩ কিলোমিটার।
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর অবস্থিত। ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট পাথর কোয়ারি স্থানটিই ‘সাদা পাথর’ নামে পরিচিত লাভ করেছে।
BRTC, লোকাল এবং ট্যুরিস্ট বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। সিলেটের মজুমদারী থেকে এই বাসগুলো ছেড়ে যায়।
আরো পড়ুন