হন্টন প্রজেক্ট । দিন-৬ঃ ধানমন্ডি-২৭ টু মিরপুর-১

দুপুরে পোলাও, গরুর গোশত, মুরগীর গোশত দিয়ে জম্পেশ খাওয়া দাওয়ার পর রাতে যখন আবার লাইভ কিচেনের বার্গাহোলিক সারপ্রাইজ খেতে বসি তখনই মনে মনে ডিসিশন নিয়ে নেই আজকে হেঁটে বাসায় যাবো। তাছাড়া ১ তারিখের পর আর হাঁটা হয়নি তেমন।

বার্গার খেয়ে উদরপূর্তি করে ৯.৪১ মিনিটে ধানমন্ডি-২৭ মিনা বাজার থেকে হাঁটা শুরু করি। আজকের হাঁটার শুরুটা ছিলো মন্থর। আস্তে আস্তে গতি বাড়তে থাকে। ২৭ নাম্বার রাপা প্লাজার সামনে আসতে আসতে হাঁটার গতি পুরোদম পায়।

গনভবনের সামনে এসে দেখি একটু দূরে দূরে কয়েকজন করে প্রহরী দাঁড়িয়ে আছে। মনে ভয়(কেন ভয় লাগছে নিজেও জানি না) কাজ করতে থাকে যদি ডেকে জিজ্জাসা করে এতরাতে গনভবনের সামনে দিয়ে কই যাচ্ছি। ভয় তাড়াতে হাঁটার গতি বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি গনভবন পার হই। আমার ভয়কে মিথ্যা প্রমান করে কেউ ডাক দেয় নি।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সামনে এসে সময় কত দেখতে ফোন বের করে দেখি মোবাইল লক হয়ে গেছে। ব্যাকআপ পিন নাম্বার চাচ্ছে। পিন নাম্বার দেই বলে ইনভেলিড পিন নাম্বার। যত পিন মাথায় আসছে সব ট্রাই করলাম, একটাও কাজ করে না। মাথা নষ্ট অবস্থা। যা আছে কপালে চিন্তা করে মোবাইল পকেটে রেখে দেই। বাসায় গিয়ে কাহিনী কি দেখা যাবে! এতকিছুর মাঝে হাঁটা বন্ধ ছিলো না। হাঁটতে হাঁটতে বিভিন্ন পিন নাম্বার ট্রাই করতেছিলাম।

কল্যানপুর এসে মেইনরাস্তা ছেড়ে ভিতরের রাস্তায় ঢুকার পর মনে মনে হিসাব করতে থাকলাম আর সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগতে পারে। এদিকে মোবাইলের টেনশন। পা আরো জোরে জোরে ফেলতে লাগলাম।

বাসায় ঢুকার সময় ঘড়িতে দেখি ১০.৪৫ মিনিট। গুগল ম্যাপ চেক করে দেখি বেশি না মাত্র ৫.৫ কিলোমিটারে মত পথ হাঁটা হইছে।

আজকের হাঁটার রুট,
ধানমন্ডি-২৭(মিনা বাজার)-> আসাদ গেট -> কলেজ গেট -> শিশু মেলা -> শ্যামলী ->কল্যানপুর -> নতুনবাজার -> মধ্যপাইকপাড়া -> ছাপাখানার মোড় -> বাসা

রোজ শনিবার
১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

Feature Image by hipwallpaper

Spread the love