ধানমন্ডি থেকে মিরপুর বাসায় হেঁটে যাওয়ার পরদিন মোমেনবাগ যাওয়া হইছিলো। বাসায় ফেরার সময় ভাবলাম ধানমন্ডি থেকে যদি হেঁটে যেতে পারি তাহলে এখন থেকে কেন নয়!
বিকাল ৩.৫২ মিনিট। মোমেনবাগ থেকে হাঁটা শুরু করলাম। মৌচাক, মগবাজার, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, ফার্মেগেট হয়ে যখন বিজয় সরনী এসে পৌছালাম ততক্ষনে এক ঘন্টা হেঁটে ফেলেছি। নভোথিয়েটারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা ভর্তা খেয়ে শরীরটাকে কিছুটা চাঙ্গা করে নিলাম। এরপর আবার হাঁটতে হাঁটতে যখন সামরিক জাদুঘরের মাঠ দেখলাম শরীর জানান দিলো একটু জিরিয়ে নিলে মন্দ হয় না।
সূর্যের শেষ আলোটুকুও মিলিয়ে যাবার পর পুনরায় হাঁটা শুরু করলাম। আগাঁরগাও রোড ধরে এগোতে থাকলাম। অন্ধকারের মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক ইলেক্টিক পোলের মাঝখান দিয়ে যেতে গিয়ে নাকে সেই এক বাড়ি খেলাম। কে যেন স্টিলের তার দিয়ে বাঁশ বেঁধে রেখেছিলো। মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। মনে হলো যেন মাথা ঘাড় থেকে আলাদা হয়ে পরে যাবে(নাকে এখনো ব্যাথা আছে)।
শ্যাওড়াপাড়া আসার পর রিকশা আর সিএনজির এক্সিডেন্ট দেখলাম। আল্লাহর রহমতে তেমন কোন দুর্ঘটনা ঘটে নাই। যেভাবে হইছিলো রিকশার যাত্রীরা মারা যেতে পারতো। পিছে কোন বাস না থাকায় বেঁচে গেছে।
বিশ্রাম নেবার পর থেকে হাঁটার গতি তুলনামূলকভাবে অনেক কমে গিয়েছিলো। শ্যাওড়াপাড়ায় এক ভেলপুরি মামা কে দেখে হাঁটা একেবারেই থামিয়ে দিলাম। গুনে গুনে ১০ টা ভেলপুরি খেয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম। মনে মনে হিসাব করতেছিলাম। এখান থেকে বাসায় যেতে আর সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগবে। শ্যাওড়াপাড়ার মেইন রাস্তা ছেড়ে গলির ভিতর দিয়ে যেয়ে ৬০ ফিট রাস্তায় উঠলাম। সেখান থেকে আবার আরেক গলিতে ঢুকে পীরেরবাগ, কাশেমের দোকান হয়ে যখন বাসায় আসলাম তখন ঘড়িতে ৭.১২ মিনিট। হাঁটা হয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার।
আজকের হাঁটার রুট,
মোমেনবাগ-> রাজারবাগ মোড় -> মৌচাক মোড় -> মগবাজার মোড় -> বাংলা মোটর মোড় -> কাওরানবাজার মোড় -> ফার্মগেট মোড় -> বিজয় সরনী -> নভোথিয়েটার -> সামরিক জাদুঘর -> চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র -> শের বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছনের রোড -> আগারগাঁও -> তালতলা -> শ্যাওড়া পাড়া -> শ্যাওড়াপাড়া ভিতরের রাস্তা দিয়ে ৬০ ফিট পাকা মসজিদ -> ৬০ ফিট রাস্তা থেকে মধ্য পীরেরবাগ ভিতরের রাস্তা -> কাশেমের দোকান -> জোনাকি রোড -> বাসা
রোজ শনিবার
১৪ নভেম্বর, ২০১৫
- হন্টন প্রজেক্ট
Feature Image: mtnews